প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস

image-not-found

২০২৩ সালে প্রতিষ্ঠিত আন নূর একাডেমী এর ধারাবাহিক সাফল্যে এলাকাবসীর দাবী ও শিক্ষার্থীদের চাহিদার প্রেক্ষিতে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে ঠাকুরগাও জেলার অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়েছে। এটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালকবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ, অভিভাবকবৃন্দ, শিক্ষার্থীদের ও সর্বোপরি এলাকাবাসীর সমন্বিত প্রচেষ্টার ফল। এলাকাবাসীর সেবার মনোভাব নিয়ে মান সম্পন্ন শিক্ষা প্রসারে এবং কৃতিত্বপূর্ণ ফল অর্জন করে এই প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যে একটি স্থান করে নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানের সার্বিক ক্ষেত্রে সফলতার জন্য মানুষের মাঝে এক ধরনের চাহিদা সৃষ্টি হওয়ায় তাঁরা তাঁদের কোমলমতি ছেলে মেয়েদের এই প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করাতে যথেষ্ট আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। প্রতিষ্ঠানের সাফল্যে অভিভাকগণের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ে বেশ প্রসংশনীয় অবদান রাখছে। সবকিছুর মূলে রয়েছে প্রতিষ্ঠানের অটুট শৃঙ্খলা, শিক্ষকগণের একাগ্রতা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণের মধ্যে সমন্বয় সাধন। শিক্ষার্থীদেরকে উপযুক্তভাবে গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য আমাদের রয়েছে বিরামহীন চেষ্টা ও পরিকল্পনা।

সভাপতির বাণী

image-not-found

মানব জাতির সূচনা লগ্ন থেকে প্রাকৃতিক পরিবেশ ও বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে মানুষ প্রতিনিয়ত জ্ঞান ও কৌশল আয়ত্ব করে চলছে। আর শত সহস্র বছরের সঞ্চিত ও অর্জিত জ্ঞান শেখানো হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। যুগের প্রয়োজনে মানবের কল্যাণে সমাজ হিতৈষী ব্যক্তিরা কখনো কখনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। এমনিই ভাবেই দক্ষ, অভিজ্ঞ, জ্ঞানে সু-গভীর ও বিদ্যানুরাগী এক মহাপুরুষ মরহুম অধ্যাপক মাওলানা মোঃ ইয়াছীন সাহেবও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দক্ষ, যোগ্য, আদর্শ ও সুনাগরিক রূপে গড়ে তোলার অভিপ্রায় নিয়ে এলাকাবাসীর সহযোগিতায়, কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলাধীন সাতানী ইউনিয়নস্থ মঙ্গলকান্দি গ্রামে প্রাকৃতিক ও সু-নিবিড় পরিবেশে মানসম্মত ধর্মীয় ও আধুনিক বিদ্যাপীঠ হিসাবে ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠা করেছেন মঙ্গলকান্দি ইসলামিয়া কামিল (স্নাতকোত্তর) মাদ্রাসা। সঠিক ধর্মীয়, নৈতিক শিক্ষা ও যুগোপযোগী আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়ে বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি গুনগত ও মানসম্মত শিক্ষাদানে সক্ষম। বর্তমান সরকারের শিক্ষা বিষয়ক নির্দেশনা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে শিক্ষকবৃন্দের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়, শিক্ষার্থীদের নিরলস অধ্যয়ন ও অধ্যবসায় এবং অভিভাবক ও সংশ্লিষ্ট সকলের সম্মিলিত পরামর্শে প্রতিষ্ঠানটি ২০২২খ্রিস্টাব্দে কামিল (মাস্টার্স) শ্রেণিতে উন্নিত হয়েছে। আল্লাহ তা’য়ালা এই প্রতিষ্ঠানটিকে সঠিক ইসলাম ও আধুনিক বিজ্ঞান সম্মত শিক্ষার মারকায হিসাবে কবুল করে নিন। আমিন!!!

অধ্যক্ষের বাণী

image-not-found

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম,
আমরা স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি। আমরা একটি সুন্দর সমাজ গড়তে পছন্দ করি। আমরা একটি নিরাপদ জনপদ চাই। আমরা একটি উন্নত নৈতিক মূল্যবোধভিত্তিক জাতি গড়তে চাই। সমাজকে পাপ পঙ্কিলতা ও কলঙ্কমুক্ত দেখতে চাই। কিন্তু কীভাবে? কীভাবে একটি ঘুণেধরা জাহেলী সমাজ যা আপাদমস্তক ডুবে আছে অপসংস্কৃতির বেড়াজালে, যেখানে মানবতা নেই, মূল্যবোধ নেই, নেই স্রষ্টার সাথে সৃষ্টি ও প্রকৃতির সাথে মানুষের কোন নৈতিক বন্ধন, যেখানে প্রতিটি সূর্যোদয় হচ্ছে মজলুম মানবতার রক্তে স্নাত হয়ে। না, আমি কোন হতাশার কথা বলছি না বরং আমাদের বোধশক্তিটুকু জাগ্রত করার মধ্য দিয়েই একটি সুন্দর জাতি, সমাজ, দেশ, রাষ্ট্র, সর্বোপরি সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়া সম্ভব। প্রয়োজন ত্যাগের মন-মানসিকতাসম্পন্ন একঝাঁক তরুণ, উদ্যমী ও সাহসী সন্তান। যারা শিক্ষা বাণিজ্য ও ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে সমাজকে একটি তাক্বওয়াভিত্তিক জনগোষ্ঠী উপহার দেবে।
পরিশেষে আমি আমার অন্তরের অন্ত:স্থল থেকে আন-নূর একাডেমীর শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক সহ সকল কর্মকর্তা-কর্মচারি শুভানুধ্যায়ীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। প্রতিষ্ঠানকে হাটিহাটি পা পা করে এ পর্যন্ত পৌছাতে আমাকে যারা সার্বিক সহযোগিতা করেছেন সকলের শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি। সময়ের স্বল্পতার কারণে কিছু অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি পরিলক্ষিত হলে আমাদেরকে অবগত করবেন। আল্লাহ আমাদের সকল প্রচেষ্টাকে তার সন্তুষ্টি ও জান্নাতের বিনিময়ে কবুল করুন। আমীন।